চার বছর আগে মেহমেট টোনার, হার্ভাড মেডিক্যাল বিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর, এ যন্ত্রটির উদ্ভাবন করেন। মূল যন্ত্রটি দশ হাজার ছোট্ট সিলিকন দারা তৈরী করা হয়েছিলো- মূলত এই যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে রক্ত বাহিত হলে এ সকল সিলিকন ক্যান্সার সেলগুলোকে ধরে রাখে বা আটকিয়ে রাখতে পারে। প্রথম যন্ত্রটির সমস্যা হল এই সকল সিলিকন একটি থেকে আরেকটি দূরে দূরে অবস্থান করছিল বলে অনেক ক্যান্সার সেল বেরিয়ে যাচ্ছিল।
টোনার, ব্রায়ান ওয়ার্ডল, একজন এম.আই.টি’র অ্যারোনটিকস ও অ্যাস্ট্রোনটিকস বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সাহায্য নিয়ে ঐ যন্ত্রের উন্নয়ন সাধন করেন। ফলশ্রুতিতে যে যন্ত্র তারা তৈরী করেছেন তা মূল থেকে আট গুন বেশি শক্তিশালী হয়েছে। তারা এবার সিলিকনের বদলে কার্বন ন্যানোটিউব ব্যবহার করছেন-যার ঘনত্ব প্রতি সেন্টিমিটারে ১০০বিলিয়ন পর্যন্ত। এর মাঝে এন্টিবডি ব্যবহার করা হয়েছে যা ক্যান্সারের সেলগুলকে আকর্ষন করে থাকে। যেহেতু রক্ত এবং ক্যান্সার সেল এই যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে এর মাধ্যমে নির্নয় খুব সহজে হয়। ডাক্তারদের পক্ষে আরো সহজে নির্দিষ্ট করা সম্ভব হবে যে ক্যান্সার রুগীর শরীরের কোন কোন অংশে ছড়িয়ে পরেছে।
বৈজ্ঞানিকেরা ভিন্ন ভিন্ন অ্যান্টিবডি এবং ন্যানোটিউবের ঘনত্বের তারতম্য ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের সেল ধরতে পারবে – টিউমার সেল থেকে শুরু করে যার আকৃতি এক মাইক্রনের সমান থেকে ভাইরাস যার আকৃতি ৪০ন্যানোমিটার পর্যন্ত।
সুত্রঃ engadget, gizmodo and inhabitat
No comments:
Post a Comment